২৮ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:৫৪

তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প

ব্যয় বাড়ছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা

মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে ৩ বছর আগেই ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি; ১৪৭টি যানবাহন ক্রয়; প্রতি হেক্টর জমির মূল্য ২.৪৮ কোটি টাকা

দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে অর্থই ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি। প্রকল্পের মেয়াদ সাড়ে তিন বছর থাকতেই ৫৫.৫৯ শতাংশ বা এক হাজার ৪৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়াবে ৪ হাজার ৪৬ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। পাশাপাশি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আরো এক বছর। এই প্রস্তাব করা হয়েছে ‘তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) (ইউজিআইআইপি)’ শীর্ষক প্রকল্পে। চলামান এই প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ধরনের ১৪৭টি যানবাহন সংগ্রহ করা হবে। হেক্টরপ্রতি জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একনেকে আজ মঙ্গলবার ব্যয় সংশোধনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, দেশের পৌরসভাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২ হাজার ৬০০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তব ও আর্থিক অগ্রগতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৫ শতাংশ। কিন্তু সেখানে আর্থিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি হলো ৬১ শতাংশ।
জানা গেছে, দেশের সাতটি বিভাগের ৩৬টি পৌরসভায় প্রয়োজনীয় যাতায়াতব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ, সেনিটেশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ভৌত সুবিধাদির টেকসই উন্নয়ন এবং নগর পরিচালন ব্যবস্থার উন্নতির জন্যই এই প্রকল্প। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং নতুন করে পাঁচটি পৌরসভাকে যুক্ত করার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য কাজ বেড়ে গেছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১০৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩৭ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের কথা ছিল। নতুন করে পাঁচটি পৌরসভাকে যুক্ত করার যুক্তি দেখিয়ে এই কাজে দ্বিগুণ ভূমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। ৭৩.৪৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৮১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে এখন হেক্টরপ্রতি জমির মূল্য দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
প্রকল্পের কাজের মধ্যে রয়েছে, ৯টি বাস-ট্রাস টার্মিনাল নির্মাণ, চারটি কিচেন মার্কেট নির্মাণ, ২৮টি মিউনিসিপ্যাল মার্কেট নির্মাণ, চারটি পশু জবাইখানা উন্নয়ন, ৩ হাজার ৯৪৯টি সড়কবাতি স্থাপন, ৪০টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রান্সফার স্টেশন স্থাপন, ১ হাজার ৭২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, ৩৬টি মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন। এ ছাড়াও ৬৫টি পাবলিক টয়লেট ও ৩৬টি মানুষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন। শহরের দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য ২১৭টি বস্তি উন্নয়ন, ২ হাজার ৪৫৬টি দুই কক্ষ বা এক কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণ, ৯৯ হাজার ৩০৫টি পানির বিলিং মিটার স্থাপন, ১০০টি হস্তচালিত নলকূপ স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/207357