২৬ মার্চ ২০১৭, রবিবার, ৭:২৪

লন্ডন হামলায় ইসলামকে দায়ী করা ভুল : তেরেসা

লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ ও পার্লামেন্টে হওয়া সন্ত্রাসী হামলাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ বলা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে হাউজ অব কমন্সে বিবৃতি দেয়ার পর এক এমপির প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মে। এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলার পর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। কনজারভেটিভ দলের এমপি এমপি মাইকেল টমলিনসন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘গতকাল যা ঘটেছে সেটাকে ইসলামিক সন্ত্রাসের কর্মকাÐ বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কি আমার সঙ্গে একমত যে, যা ঘটেছে সেটা ইসলামিক নয়। জবাবে একমত পোষণ করে তেরেসা মে বলেন, আমি বিশ্বাস করি ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ ব্যবহার করা সঠিক নয়। আমি সম্পূর্ণরূপে একমত। আর এ ঘটনাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা ভুল। এমপি টমলিনসন তার প্রশ্নে ১৯৭৯ সালে হাউজ অব কমন্সে আইরিশ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির গাড়ি বোমা হামলায় একজন কনজারভেটিভ এমপি নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টানেন। এদিকে, লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলাকারী খালিদ মাসুদের জন্মনাম অ্যাড্রিয়ান রাসেল অ্যাজোয়া ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার জন্ম লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেন্ট-এ ১৯৬৪ সালের বড়দিনে। ‘দ্য ডেইলি মেইল’ পত্রিকা বলছে, জন্মের সময় মাসুদের নাম ছিল অ্যাড্রিয়ান এলমস। ইংল্যান্ডের সাউথ কোস্টে রায় শহরে একা মায়ের লালন-পালনেই বড় হন তিনি। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম বদলে ফেলেন। অন্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, মাসুদ একসময় শিক্ষকতা করতেন এবং তিনি ছিলেন তিন সন্তানের জনক। ধর্মান্তর করে মুসলমান হওয়া খালিদ মাসুদ কিভাবে জঙ্গিবাদে ঝুঁকলেন সে বিষয়টিই পুলিশ এ মুহূর্তে খতিয়ে দেখছে। তিনি কোনো স¤প্রদায় থেকে উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন কিনা কিংবা বিদেশ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন নাকি অনলাইন প্রচার থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লন্ডন পুলিশের এসিসটেন্ট ডেপুটি কমিশনার মার্ক রাউলি। তার সম্পর্কে পুলিশ আরো তথ্য আহŸান করেছে। মাসুদ কার কার সঙ্গে মিশতেন এবং সা¤প্রতিক দিনগুলোতে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন সে সম্পর্কে পুলিশ তথ্য চায় বলে জানান রাউলি। উল্লেখ্য, গত বুধবারের হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের প্রাণহানি হয়। আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। তাদের অন্তত সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

https://www.dailyinqilab.com/article/71335/