সিলেটের জাফলংয়ে বৃহস্পতিবার পাথর কোয়ারিতে মাটিচাপায় নিহত দুই শ্রমিক -যুগান্তর
১৭ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ১০:১৭

সিলেটে বেপরোয়া পাথরখেকোরা

বৃহস্পতিবার মারা গেছেন আরও দুই শ্রমিক

সিলেটে পাথরখেকোদের থাবায় বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে পর্যটন স্থান জাফলং ছাড়াও পাথর কোয়ারিগুলো। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে তাদের এ কর্মকাণ্ড। তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে পরিবেশ ও নিরীহ শ্রমিকের প্রাণ। অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায় পাথর উত্তোলনে শ্রমিক নিয়োগ করায় প্রায়ই লাশ হচ্ছেন শ্রমিকরা। দীর্ঘ হচ্ছে এ লাশের মিছিল। বৃহস্পতিবারও জাফলংয়ে নিহত হন দুই শ্রমিক। এ নিয়ে গেল ২ মাসে পাথরখেকোদের কারণে প্রাণ গেছে ১৭ শ্রমিকের। হত্যার পর লাশ গুমেরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে।


অবৈধ পাথর উত্তোলনে শ্রমিক নিয়োগ ও দফায় দফায় লাশ গুমের ঘটনা ঘটার পর দুটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। সিলেটের জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পৃথক তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলেও সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। সুপারিশে পাথর রাজ্যের লর্ডদের (মূল হোতা) দ্রুত গ্রেফতার করে পরিবেশ ধ্বংস, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট ও শ্রমিক হত্যার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়। কিন্তু এমন প্রতিবেদন দাখিলের প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও লর্ডদের একজনকেও গ্রেফতার করেনি প্রশাসন। শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচটি হত্যা মামলা হলেও গ্রেফতার হয়েছে গুটিকয়েক কর্মচারী। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে বিভিন্ন মহলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গেল ২ মাসে সিলেটের তিন পাথর কোয়ারিতে ১৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসনের হিসাবে গত ৬ মাসে শুধু শাহ আরেফিন টিলাতেই নিহত হন ১৮ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, পাথর কোয়ারিগুলোতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে ডাউকী নদীর তীর খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দুই শ্রমিক নিহত হন। এরা হচ্ছেন আকরাম হোসেন ও লেচু মিয়া। তাদের মূল বাড়ি জালালাবাদ থানার নোয়াগাঁও গ্রামে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগ ও দফায় দফায় লাশ গুমের ঘটনা ঘটার পর দুটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। সিলেটের জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পৃথক তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলেও সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। সুপারিশে পাথর রাজ্যের লর্ডদের (মূল হোতা) দ্রুত গ্রেফতার করে পরিবেশ ধ্বংস, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট ও শ্রমিক হত্যার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়। কিন্তু এমন প্রতিবেদন দাখিলের প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও লর্ডদের একজনকেও গ্রেফতার করেনি প্রশাসন। শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচটি হত্যা মামলা হলেও গ্রেফতার হয়েছে গুটিকয়েক কর্মচারী। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে বিভিন্ন মহলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গেল ২ মাসে সিলেটের তিন পাথর কোয়ারিতে ১৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসনের হিসাবে গত ৬ মাসে শুধু শাহ আরেফিন টিলাতেই নিহত হন ১৮ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, পাথর কোয়ারিগুলোতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে ডাউকী নদীর তীর খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দুই শ্রমিক নিহত হন। এরা হচ্ছেন আকরাম হোসেন ও লেচু মিয়া। তাদের মূল বাড়ি জালালাবাদ থানার নোয়াগাঁও গ্রামে। গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো হত্যা মামলা হবে না বলে জানান তিনি। ৬ মার্চ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনের সময় ফারুক নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার বিজয় পাড়–য়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে ২৩ জানুয়ারি উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায়। ওইদিন পাথরের গর্তে নিহত ৫ শ্রমিকের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নেত্রকোনায় নিয়ে গেলে পুলিশ আটক করে। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি পাথর উত্তোলনকালে মাটিচাপা পড়ে আনিছ মিয়া নামে এক শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার পর কোম্পানীগঞ্জের ওসি বায়েছ আলমকে প্রত্যাহার ও ইউএনও মাছুম বিল্লাহকে বদলি করা হয়। ২ মার্চ একই এলাকায় মাটিচাপায় নিহত হন এক ট্রাক্টর চালক। একাধিক হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার না করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। তারা হত্যা মামলায় জামিন নেয়ার জন্য সিলেট ও ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। ফলে এলাকায় অভিযান অব্যাহত থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। আসামি করা হয়েছে ১৯ জনকে। এর মধ্যে ৮ জন গ্রেফতার ও বাকি ১১ আসামি পলাতক রয়েছে। আসামিরা এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

http://www.jugantor.com/first-page/2017/03/17/109623/