১৭ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ১০:১৪

অর্থ সংকটে আলোর মুখ দেখছে না তাঁতশিল্প

 অর্থ সংকটে আলোর মুখ দেখছে না মিত্র সর্মার তাঁতশিল্প। মিত্র সর্মা (৪৫) ঝিনাইগাতী উপজেলার জারুলতলা গ্রামের জয়বলোয়ারীর পুত্র। জীবিকার তাগিদে শৈশবকাল থেকেই পাবনা, নরসিংদী, ঢাকা ও মধুপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাপড় তৈরির কাজ করে কাটিয়েছেন তিনি। শৈশবকাল থেকেই তার মনে জাগে একটি তাঁতশিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন।

২০০৬ সালে তিনি একটি তাঁতশিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেন। ৭টি কাঠের তাঁত তৈরি করে নিজ বাড়িতেই কাপড় বুননের কাজ শুরু করেন। তার তাঁতশিল্পের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, ধূতি, চাঁদর, মাফলার, টুপি, উড়নাসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় এলাকায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু অর্থ সংকটে তার স্বপ্নের সেই তাঁতশিল্পটি বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। সংস্কারের অভাবে তাঁতশিল্পের ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তার কষ্টার্জিত ৭টি কাঠের তাঁত খোলা আকাশের নিচে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তা প্রায় নষ্ট হবার উপক্রম। কথা হয় মিত্র সর্মার সাথে।

তিনি বলেন, আর্থিক যোগান পেলে তার তাঁতশিল্পে উত্পাদিত কাপড়-চোপড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রি করা যাবে। এতে এলাকায় অনেকেরই কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, তার শৈশবকালের স্বপ্ন তাঁতশিল্পটি টিকিয়ে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আবেদন-নিবেদনও করেছেন। কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। এতে ভেস্তে যেতে বসেছে মিত্র সর্মার তাঁতশিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন। ১ ছেলে ২ মেয়েসহ ৫ সদস্যের পরিবার মিত্র সর্মার। ছেলে-মেয়েরা বিয়ে-শাদি করে সবাই আলাদা। মিত্র সর্মা এখন কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। কথা হয় মিত্র সর্মার স্ত্রী রেখা সর্মার সাথে। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণ অথবা কোনো সুহূদয়বান ব্যক্তির সহায়তা পেলে তার স্বামীর স্বপ্নের সেই তাঁতশিল্পটি অনায়াশে তা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

 

http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2017/03/17/182790.html