মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪ জনের লাশ :
১৫ মার্চ ২০১৭, বুধবার, ১২:২৩

মেহেরপুরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

মেহেরপুরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। গেল রাত আড়াইটায় সদর উপজেলার নূরপুর মোড়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেনÑ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২৫), রমেশ (২৪), পিরোজপুর গ্রামের কানন (২৫) ও টুঙ্গী গোপালপুর গ্রামের সোহাগ (২৭)। তারা সোনাপুর গ্রামের জোড়া খুন মামলার আসামি বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীবসহ সাত পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মেহেরপুর থানার মামলা নং-২ তারিখ ০৯/০৩/১৭ খ্রি: ধারা- ৩৬৪/৩৮৭/৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোডের সন্দিগ্ধ আসামি সোনাপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, রমেশ, পিরোজপুর গ্রামের কানন ও টুঙ্গী গোপালপুর গ্রামের সোহাগকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের মেহেরপুর নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা সোনাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ এবং আসাদুল ইসলামকে অপহরণ করে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে। অবৈধ অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের জন্য ১৪ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় নূরপুর মোড়ের একটি লিচু বাগান থেকে তাদের ছিনিয়ে নিতে সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হলে আটক আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই চারজন। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, এসআই তারিক আজিজ, এসআই রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য আবদুল হান্নান, আবদুল ওহাব, মিথান সরকার ও শহিদুল ইসলাম আহত হন। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি কাটা রাইফেল, দু’টি হাতবোমা, দু’টি ছোরা ও দু’টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান রাজু জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত ৫ মার্চ রাতে সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের দুই ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ (৫৫) এবং আসাদুল ইসলামকে (৫০) অপহরণ করে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০-১২ জনের অস্ত্রধারী একটি দল গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে তাদের অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাতেই তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা এ হত্যার সাথে জড়িত বলে ধারণা করছেন পুলিশ ও এলাকাবাসী।

 

 

 

www.dailynayadiganta.com/detail/news/203725