১৫ মার্চ ২০১৭, বুধবার, ১২:০৪

জীবনযাত্রার ব্যয় কিছুটা বেড়েছে

দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিও সেই ব্যয় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১০০ টাকার জিনিস গত জানুয়ারিতে ১০৫.১৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। আর সেই পণ্য ফেব্রুয়ারিতে এসে ১০৫.৩১ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হলো ৫.৩১ শতাংশ। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে এই বৃদ্ধির হার বেশি বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে বেরিয়ে এসেছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য জিনিসের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।
শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৬.৮৪ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬.৫৩ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে হার কিছুটা কমেছে। গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে ৫.১৪ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৬.৬৬ শতাংশ হয়েছে। শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে ৫.৬২ শতাংশ এবং খাদ্য খাতে ৭.২২ শতাংশ হয়েছে। বিবিএস বলছে, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাবও মূল্যস্ফীতিতে পড়েছে।
এডিপি বাস্তবায়ন হার ৩৭ শতাংশ : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৩৭ শতাংশ বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই হার বেশি। ৪৫ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে।
এদিকে আইএমইডির তথ্যানুযায়ী, ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে মাত্র ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাস্তবায়ন হার ৫০ শতাংশের বেশি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর বাস্তবায়ন হার খুবই হতাশাজনক। সেতুু বিভাগের ২১.৬৩ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২৫.৭৮ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২৭.২৫ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২৭.৯১ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩১.৪৯ শতাংশ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৩৭.৩২ শতাংশ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ৪৫.৯৩ শতাংশ, জ্বালানি বিভাগের ৪৬.৮০ শতাংশ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪৮.৬৮ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগের ৫০.৬৪ এবং কৃষি হলো ৫১.৭২ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৮২.৫৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের।

www.dailynayadiganta.com/detail/news/203693