২৬ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার, ১১:৪৮

জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই সিন্ডিকেট রিপোর্ট প্রচার করা হচ্ছে

গত ২৩ অক্টোবর রাতে হোসনী দালানের সামনে থেকে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলা এবং গাবতলীতে পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে দুর্বৃত্তদের হত্যা করার ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট এবং আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ২৬ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “হোসনী দালানের সামনে থেকে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলার ঘটনা এবং গাবতলীতে পুলিশের এ.এস.আই ইব্রাহিম মোল্লাকে দুর্বৃত্তদের হত্যা করার ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য এবং কয়েকটি সংবাদ পত্রের বিভ্রান্তিকর মিথ্যা রিপোর্ট একই সূত্রে গাঁথা।

আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, হোসনী দালানের সামনে শিয়া মুসলমানদের সমাবেশে বোমা হামলা ও গাবতলীতে পুলিশের এএসআই ইব্রাহিম মোল্লার হত্যার ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের চরম ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার হীন উদ্দেশ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ ও তাদের মদদপুষ্ট কতিপয় সংবাদপত্র জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণায় মেতে উঠেছে। অতীতেও কোন অঘটন ঘটলেই জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে তাদের মিথ্যা প্রচারণা চালাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তাদের সকল প্রচারণাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর রিপোর্ট পড়লে যে কেউই বুঝতে পারবেন যে, এগুলো সিন্ডিকেট রিপোর্ট। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ ধরনের সিন্ডিকেট রিপোর্ট প্রচার করা হচ্ছে। হোসনী দালানের সামনে শিয়া মুসলমানদের সমাবেশে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলা ও গাবতলীতে এএসআই জনাব ইব্রাহিম মোল্লা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার পর আমরা এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এসব ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ ঐসব ঘটনার তদন্তের পূবের্ই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানার সাথে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাই চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা ডা: ইউনুস আলীর বাড়ীতে নাশকতার পরিকল্পনা হয় বলে কালের কণ্ঠের রিপোর্টে যে কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হীন উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে কালের কণ্ঠ পত্রিকা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এভাবে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করছি যে, সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষ অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ঠ বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”