২৮ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার, ১১:৪৭

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিকে ঘৃণা করে

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৮ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানে “দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে বিদেশীদের উপর বিএনপি-জামায়াত জোট হামলা চালিয়েছে” মর্মে যে ভিত্তিহীন অসত্য মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ২৮ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গোটা জাতি যখন আশা করছে যে, বিদেশীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা ও শিয়া মুসলমানদের তাজিয়া মিছিলে বোমা নিক্ষেপসহ সকল সন্ত্রাসী ঘটনার মোকাবেলা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ডাক দিবেন ঠিক সেই মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের অসত্য মন্তব্য দেশবাসীকে দারুণভাবে হতাশ করেছে এবং তার এ বক্তব্যের আঁড়ালে যাতে চিহ্œিত খুনি সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যেতে পারে সেই রাস্তা তিনি খুলে দিচ্ছেন।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিকে ঘৃণা করে। কাজেই কোন হত্যা ও সন্ত্রাসের ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই ওঠে না। বিদেশীদের উপর হামলা, তাজিয়া মিছিলে বোমা নিক্ষেপ এবং পুলিশের এএসআই জনাব ইব্রাহিম মোল্লাকে হত্যাসহ সকল সন্ত্রাসী ঘটনাসমূহের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুনী ও দোষীদের চিহ্œিত করে কঠোর শাস্তি প্রদান করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত কাজ শেষ হয়নি এবং খুনিরাও চিহ্œিত হয়নি।
প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে সাথে তদন্ত শুরু হওয়া তো দূরের কথা, তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই বিরোধীদল বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে সরকারের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ অনবরত বক্তব্য দিয়েই চলেছেন। এ সমস্ত বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কদর্য উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এ ধরনের অপচেষ্টার আবারও তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরপরই স্পষ্ট ভাষায় নিন্দা জানিয়ে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের আহবান জানিয়ে আসছি। পাশাপাশি সরকার কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের উদ্যোগ নিলে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকারও করেছি। অতি দুঃখের বিষয় সরকার আমাদের কোন আন্তরিক বক্তব্য ও প্রয়াসকে আমলে না নিয়ে জোর করে আমাদের ঘাড়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ সমস্ত অপকর্মের দায় চাপানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, তাদের এ ধরনের অপপ্রয়াস অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, এখনও নিঃসন্দেহে তেমনি ব্যর্থ হবে। আমরা সরকারকে এ ধরনের কদর্য ও নোংরা রাজনৈতিক খেলা থেকে বিরত থাকার জন্য আহŸান জানাচ্ছি।
জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সরকার এ সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের খুঁজে বের করার পরিবর্তে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি দেশের ১৬ কোটি মানুষ তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধি করছেন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মুখে সকল ষড়যন্ত্রই বানচাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”