৩ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার, ১১:৩৭

জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে

কুষ্টিয়া, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, যশোহর, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট, ল²ীপুর, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা মহানগরী, জয়পুরহাট, হবিগঞ্জ, ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল জেলায় আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৬ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৩ নভেম্বর ’১৫ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,“জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করে সরকার দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেশীদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।
গত ১লা নভেম্বর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হুসেইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোশাররফ হুসেইন, বগুড়া শহর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আবদুল মালেকসহ ২ জন নেতা-কর্মীকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জনাব মো: নুরুজ্জামানসহ ৬ জন নেতা-কর্মীকে, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মুক্তার হুসেইন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আলীসহ ৩জন কর্মীকে, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাসান আলী, ল²ীপুর পৌরসভা জামায়াতের আমীর জনাব শামসুল ইসলামকে, রাজশাহীতে জামায়াতের ৪ জন নেতা-কর্মীকে, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য বেলালসহ ৪ জন কর্মীকে, ঢাকা মহানগরীতে জামায়াতের ২ জন কর্মীকে, জয়পুরহাটে জামায়াতের ১ জন কর্মীকে, হবিগঞ্জ জেলার বৃন্দাবন কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমীর হামজাসহ ১০ জন নেতা-কর্মীকে ও ঝিনাইদহ জেলায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭জন কর্মীকে, টাঙ্গাইলে ছাত্র শিবিরের ২ জন নেতাসহ গত ২দিনে সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের প্রায় ৪৬ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। গত ৩১ অক্টোবর রাতে টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুর উপজেলার ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা নাইমুল ইসলাম ও সোহাগ হুসেইনকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর আজ পর্যন্ত তাদের আদালতে সোপর্দ করেনি। ফলে তাদের আত্মীয়, পরিবার-পরিজন চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনযাপন করছে। দেশব্যাপী জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে সরকারের একদলীয় ফ্যাসিবাদী চেহারাই জাতির সামেন নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়ে সরকার দেশকে বিচ্ছৃংখলার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে।
যে কাউকে গ্রেফতার করার পরে ২৪ ঘটনার মধ্যে আদালেত সোপর্দ করার আইন থাকলেও পুলিশ টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুর উপজেলার ছাত্র শিবিরের দুই জন নেতাকে গত ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার করা সত্তে¡ও আজ ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশ আদালতে সোপর্দ না করে আইন লক্সঘন করেছে। পুলিশের এহেন অন্যায় ও অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশের জনগণ ও সকল মানবাধিকার সংস্থার প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।
গ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন এবং টাগাইলের মীর্জাপুরের দু’জন ছাত্রশিবির নেতাসহ সারা দেশের জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”