১২ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১১:২৮

দেশে একটি একদলীয় শাসন কায়েম করাই আওয়ামী সরকারের লক্ষ্য

সরকার আগামী ডিসেম্বর মাসে পৌরসভা নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করার সাথে সাথেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণকে গণহারে গ্রেফতার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ১২ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার একদিকে ডিসেম্বর মাসে পৌরসভা নির্বাচনের কথা বলছে, অপরদিকে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণকে গণহারে গ্রেফতার করে দেশে এক সন্ত্রাসী তা-ব চালাচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে সারা দেশ থেকে জামায়াত, ছাত্রশিবির, বিরোধীদলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণসহ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। সারা দেশে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরকারের এ ধরনের কর্মকা- দেখে মনে হচ্ছে যে, তারা চায় না পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধীদল অংশগ্রহণ করুক। তারা বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একদলীয় নির্বাচন করে নিজেদের দলের লোকদের নির্বাচনী বৈতরণী পার করিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একতরফা সংসদ নির্বাচনের প্রহসন করে যেমনি নিজের দলের লোকদেরকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে, তেমনি পৌরসভাগুলিতেও নিজের দলের লোকদেরকে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসানোর চক্রান্ত করছে। দেশে একটি একদলীয় শাসন কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য।

বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করাই যদি তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার প্রয়োজন কী? জনগণের সাথে প্রতারণা না করে ক্ষমতার বলে নিজের দলের লোকদের তারা পৌরসভাগুলিতে বসিয়ে দিলেই তো পারেন?

কাজেই একদলীয় নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌরসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে মুক্তি দিয়ে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”