১৬ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার, ১১:২৪

সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং ছাত্রীসংস্থার নেত্রীদের গ্রেফতার করেছে

আজ ১৬ নভেম্বর দুপুরে আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী বগুড়া জেলার দুঁপচাচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা জনাব আবদুল গণি মণ্ডল এবং উপজেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সেক্রেটারী জনাব হেলাল উদ্দিনকে, জামায়াতের রুকন খুলনা জেলার ফুলতলা নিবাসী জনাব আলী আকবর মোড়লকে ১৫ নভেম্বর, খুলনা মহানগরী ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী খাদিজা আক্তার, সেক্রেটারী মমতাজ আক্তার, সদস্যা রহিমা আক্তারসহ লালমনিরহাটে জামায়াতের তিনজন কর্মীকে ও দিনাজপুরে একজন কর্মীকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ১৬ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, “সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং ছাত্রীসংস্থার নেত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।

দুঁপচাচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আবদুল গণি মণ্ডল একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাšি^ত হয়েই সরকার তাকে আজ দুপুরে উপজেলা পরিষদের অফিস থেকে গ্রেফতার করেছে। তার সেবা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যেই সরকার তাকে গ্রেফতার করে কষ্ট দিচ্ছে।

বর্তমান সরকারের হয়রানি থেকে ধার্মিক ও পর্দানশীল ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না। ইসলামের পক্ষে দাওয়াতী কাজ করার কারণেই সরকার তাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। গ্রেফতারকৃত ছাত্রীরা সম্পূর্ণ নির্দোষ।

জামায়াতের নেতা-কর্মী ও ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ছাত্রীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ¯ৈ^রাচারী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।

গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে দুঁপচাচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আবদুল গণি মণ্ডল এবং খুলনা মহানগরী ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সভানেত্রী খাদিজা আক্তার ও সেক্রেটারী মমতাজ আক্তারসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”