২১ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার, ১১:২১

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া একদলীয় ফ্যাসীবাদী চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০ নভেম্বর রাতে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব মোঃ জুলফিকার আলীকে, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব হারুন-অর-রশিদ ও তার ছোট ভাই আরিফকে আজ সকালে ও সাভার পৌরসভা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ লুৎফর রহমানকে, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব নজরুল ইসলামকে আজ ২১ নভেম্বর অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ২১ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল জনাব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মুক্তির দাবীতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি আহ্বান করা এবং পালন করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকারে বাধা দেয়ার মাধ্যমে সরকারের একদলীয় ফ্যাসীবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব হারুন অর রশিদ একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাকে এবং তার ছোট আরিফকে আজ ২১ নভেম্বর তাদের অপর এক ছোটভাই শরিফের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের মত একটি অনুষ্ঠান থেকেও জালেম সরকার জামায়াতের নির্দোষ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। সরকারের এ ধরনের জঘন্য আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে রামপাল উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব মোঃ জুলফিকার আলী ও কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব হারুন-অর-রশিদসহ জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”