২৯ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার, ১০:৪৪

কালের কণ্ঠ পত্রিকায় জামায়াত ও শিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে

আজ ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ, সমকাল ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পরিবেশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ২৯ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “উল্লেখিত সংবাদপত্রগুলো জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে সব তথ্য পরিবেশন করেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
দৈনিক কালের কণ্ঠের রিপোর্টে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবির) সাথে জামায়াত-শিবিরের যোগসূত্র থাকার’ যে কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। আমি স্পষ্টভাষায় জানাতে চাই যে, জেএমবির সাথে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের কোন যোগসূত্র নেই।
দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘প্রধানমন্ত্রীসহ ছয়জনকে হত্যার ষড়যন্ত্র’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে জামায়াত-শিবির। সংগঠনটির হিট লিষ্টে রয়েছেন ¯^াস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও ডা. ইমরান এইচ. সরকার’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে ঘৃণা করে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব জাহিদুর রহমানসহ নেতা-কর্মীদের সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সাথে নাশকতার নক্শা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সংস্কারপন্থী, তুরস্কের গুলেন মুভমেণ্টেরপন্থী বা গোপনে সংঘটিত হওয়ার রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিকপন্থায় প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে এবং করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘লাখো শিবির কর্মী লাপাত্তা’ এবং ‘সিক্রেট কিলার কারা?’ শিরোনামে প্রকাশিত দু’টি রিপোর্টে জামায়াত ও ছাত্রশিবির সম্পর্কে যে সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কাল্পনিক। জনগণকে বিভ্রান্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই এ অবাস্তব ও কাল্পনিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকেই আমরা লক্ষ্য করে আসছি যে, তারা জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীগণ এ দেশেরই সন্তান এবং তারা এ দেশেই আছে। তাদের লাপাত্তা হওয়ার যে কথা বাংলাদেশ প্রতিদিনে লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘সিক্রেট কিলার কারা?’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টে মেজর জেনারেল (অবঃ) এমএ রশিদের বরাত দিয়ে ‘জঙ্গিদল ও সংগঠনের রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘটানোর চেষ্টার নেপথ্যে ভূমিকা পালন করছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত তাদের সশস্ত্র সংগঠনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আইএস-এর আদলে জামায়াত জঙ্গিদের মাধ্যমে দেশে শিয়া-সুন্নী সংঘাতের অবতারণা ঘটানোর চেষ্টা করছে’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যা। জনগণকে বিভ্রান্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই তিনি এসব কথা বলেছেন। জামায়াত ও ছাত্রশিবির সম্পর্কে এ ধরনের কাল্পনিক তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
তাই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে আশা প্রকাশ করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”