১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রবিবার, ১০:৩৮

অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের গোটা প্রবন্ধটিই সম্পূর্ণ কাল্পনিক তথ্য নির্ভর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের লেখা “বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক, অর্থনীতি ও জঙ্গিবাদ: মর্মার্থ ও করণীয় শীর্ষক এক প্রবন্ধে “মুনাফার একটি অংশ ব্যয় করা হচ্ছে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় নামে-বেনামে গড়ে উঠা ১৩২ জঙ্গি সংগঠনের পেছনে।” মর্মে যে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ আজ ১৩ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের গোটা প্রবন্ধটিই সম্পূর্ণ কাল্পনিক তথ্য নির্ভর। বাস্তবতার সাথে যার কোন সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করাই তার কাজ। তিনি অতীতেও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

তার এ প্রবন্ধ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েই তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে হাস্যকর অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন প্রবন্ধটি লিখেছেন। আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, তার প্রবন্ধে উল্লেখিত ১৩২টি জঙ্গি সংগঠনকে আমরা চিনি না। ইসলামের শান্তিপূর্ণ সুমহান মর্যাদাকে খাট করার হীন উদ্দেশ্যেই ইসলাম বিদ্বেষী মহল ইসলামের নামধারী ঐ সব সংগঠনের জন্ম দিয়েছে। কাজেই ঐ সব সংগঠনকে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই তিনি ঐ সব কথিত জঙ্গি সংগঠনের পেছনে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতা থাকার আজগুবি তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তার পরিবেশিত মিথ্যা তথ্য দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।

কাজেই এ ধরনের কাল্পনিক তথ্যভিত্তিক প্রবন্ধ লিখে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি তার প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”