২৬ জুলাই ২০১৭, বুধবার, ৯:১৭

পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীল চট্টগ্রাম উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অধ্যাপক নূরুল আমীন চৌধুরী এবং হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জনাব শহিদুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামীর ৭জন নেতা-কর্মীকে গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম আজ ২৬ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “চট্টগ্রাম উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর উপরে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় একটি বিবাহের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য একত্রিত হলে পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের গ্রেফতার করার পর পুলিশ মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, তাদের বেআইনী সমাবেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তারা কোন রাজনৈতিক সভা বা সমাবেশ করেননি।

পুলিশ চট্টগ্রাম উত্তা সাংগঠনিক জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জনাব নূরুল আমীন চৌধুরীসহ স্থানীয় জামায়াতের ৭ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অধ্যাপক নূরুল আমীন চৌধুরীর মাতা সালেমা খাতুন (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি............রাজীঊন)। তা সত্ত্বেও পুলিশ নির্দয়ভাবে তাদের আটক করে রেখেছে। এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, সরকারের জুলুম-নির্যাতন কী সাংঘাতিক অমানবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অমানবিক আচরণ কি কখনো কল্পনা করা যায়? সরকারের মধ্যে যদি সামান্যতম মানবিক মূল্যবোধ থাকত তাহলে অধ্যাপক নূরুল আমীন চৌধুরীকে জরুরীভাবে মুক্তি দিয়ে তার মৃত মাকে একবার দেখার ও নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করে মায়ের জন্য দোয়া করার সুযোগ দিত। সরকারের এ ধরনের জুলুম-নির্যাতন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অধ্যাপক নূরুল আমীন চৌধুরীসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”