৩ মে ২০১৭, বুধবার, ১:৫৫

বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষ অভাবের তাড়নায় হাহাকার করছে

মাত্র তিনজন প্রকৌশলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়তে গিয়ে গোটা হাওরাঞ্চলের প্রায় ২০ লক্ষ জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে

হাওর অঞ্চলের বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের সাথে যুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিনজন প্রকৌশলীকে চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সম্পর্কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ৩ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “হাওরাঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের সাথে যুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেবল মাত্র তিনজন প্রকৌশলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা অঞ্চলে পাহাড়ী ঢল এবং ক্রমাগত বর্ষণে বাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট বন্যায় দেশের অর্থনীতির অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষ অভাবের তাড়নায় হাহাকার করছে।

বাঁধ নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদাররা সরকারের দলীয় আনুকূল্যে কোথাও কোথাও ব্যাপক দুর্নীতি করে অল্প-স্বল্প কাজ করে, আবার কোথাও কোথাও কোন কাজ না করেই সমুদয় অর্থ লুটপাট করেছে। এভাবে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়তে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোটা হাওর অঞ্চলের প্রায় ২০ লক্ষ জনগণকে বিপর্যয় এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক দুর্নীতির কথা সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দেশের জনগণের স্বার্থ, জীবন, সম্মান ও সম্পদ সংরক্ষণ আওয়ামী লীগের কাছে বড় নয়। বরং তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া। বন্যা দুর্গত এলাকার জনগণ, ফসল, গোবাদি পশু, হাঁস-মুরগীসহ সমুদয় সম্পদ হারিয়ে আজ এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। জনগণের দুর্গতি ইতোমধ্যেই সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

আমরা বারবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকাকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করার জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার তা মোটেই আমলে নিচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ, স্বাস্থ্য সেবা, ও পুনর্বাসনে তেমন কোন উদ্যোগ লক্ষণীয় নয়।

অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার জন্য আমি আবারও দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজে দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত সকল দুর্নীতিবাজকে খুঁজে বের করার জন্য আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।”