১৪ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার, ৫:৫৩

আন্তর্জাতিক আহবানে সাড়া দিয়ে অবিলম্বে জামায়াত নেতাদের ছেলেদের তাদের পরিবারের নিকট ফেরত দেয়ার আহবান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর পুত্র ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে অবিলম্বে তাদের নিজ নিজ পরিবারের নিকট ফেরত দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৪ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “তাদের জন্য তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনা যাপন করছেন।

সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে এবং ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে একদল লোক তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে জোরপূর্বক গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। তাদের তুলে নেয়ার পর তাদের পরিবার-পরিজন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা তাদের গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করে এবং থানায় জিডি বা সাধারণ ডাইরী করতে গেলে তারা জিডি পর্যন্ত নেয়নি। তারা কোথায় এবং কি অবস্থায় আছেন তা অনুসন্ধান করে পরিবার-পরিজনকে অবহিত করে তাদের মুক্তির ব্যাপারে তাদের পরিবার-পরিজন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করছে না।

তাদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা সত্ত্বেও সরকার তাদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাদের পরিবার-পরিজন এবং আন্তর্জাতিক মহল ও দেশের জনগণ মনে করে সরকারই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তাদের গুম করে রেখেছে। তাদের যদি কোন অপরাধ থাকে তাহলে অবিলম্বে তাদের আদালতে সোপর্দ করে সরকার আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে পারেন। অথবা পরিবার-পরিজনদের নিকট ফিরিয়ে দিতে পারেন। তা না করে তাদের অন্যায়ভাবে গুম করে রাখাটা আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাদের গুম করে রেখে সরকার মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে ভুলুন্ঠিত করছেন।

অবিলম্বে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের নিকট ফেরত দিয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”