১২ নভেম্বর ২০১৬, শনিবার, ৫:০৮

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জনাব মকবুল আহমাদের কোন সম্পর্ক নেই

বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন পত্রিকায় গত ১১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়তউল্যাহ বাঙ্গালীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ভিডিওতে ধারণ করা বক্তব্যের বরাত দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদকে জড়িয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১২ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দাগনভূইয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়তউল্যাহ বাঙ্গালীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদকে জড়িয়ে যেসব বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা ।

বাংলা ট্রিবিউনের ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, ১৯৭১ সালে ফেনীতে সংঘটিত কোন মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ও নির্দেশ দান, কারো ঘর-বাড়ীতে হামলা এবং লুটপাট চালানো ও পুড়িয়ে দেয়াসহ কোন হত্যাকান্ডের সাথেই জনাব মকবুল আহমাদের কোন সম্পর্ক নেই। খুশিপুরের মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্যাহর হত্যাকা-ের সাথে তার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজাকার মোশাররফ হোসেন মশার সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। ফেনী ও দাগন ভূইয়ায় রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় জনাব মকবুল আহমাদের নেতৃত্ব দেয়ার প্রশ্নই আসে না। জনাব মকবুল আহমাদকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হীন উদ্দেশ্যেই এ সব বানোয়াট অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্টটিতে জনাব মকবুল আহমাদকে তৎকালীন ফেনীর শান্তি কমিটির প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ঐ সময় ফেনীর শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা খাজা আহমাদ। এতেই বুঝা যায় রিপোর্টটি ডাহা মিথ্যা।

জনাব মকবুল আহমাদকে জড়িয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”