৬ মার্চ ২০১৭, সোমবার, ১:০৭

আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করার আহ্বান

ইসলাম নারীকে যতটা মর্যাদা দিয়েছে অন্য কোথাও ততটা মর্যাদা দেয়া হয়নি

৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৬ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসলামই নারীকে সব চাইতে বেশী সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমেই নারী সমাজকে প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। নারীগণ মায়ের জাতি। তাদেরকে মর্যাদা প্রদান মূলতঃ মাকেই মর্যাদা প্রদান। ইসলাম নারীকে যতটা মর্যাদা দিয়েছে অন্য কোথাও ততটা মর্যাদা দেয়া হয়নি। ইসলামী আদর্শ অনুসরণ না করার কারনেই বর্তমানে রাষ্ট্রে, সমাজে ও পরিবারে নারীরা নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও অবহেলিত হচ্ছে। ক্রমেই সমাজে নারী ধর্ষন ও নারী নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নারী নির্যাতন ও নারী ধর্ষন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। অপসংস্কৃতি ও বিজাতীয় আদর্শ অনুসরণ করার কারণেই নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন ক্রমেই বাড়ছে। বাস্তুবাদী দর্শনের অনুসরণকারীরা নারীদেরকে ভোগের সামগ্রীর মতই ব্যবহার করছে।

প্রতিদিন খবরের কাগজের পাতায় দেখা যায় নারী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দেশের ৫৫টি জেলায় ২০১৪ সালে ২ হাজার ৮শত ৭৩টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং ২০১৫ সালে ৫ হাজার ৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবার্ধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সেন্টারের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০১৬ সালে সারা দেশে ১ হাজার ৪ শত ১৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালে ৫শত ২১ জন শিশু ধর্ষিতা হয়েছে। এ পরিসংখ্যান সমাজের বাস্তব অবস্থার খন্ডিতাংশ মাত্র। প্রকৃত অবস্থা আরো ভয়াবহ। এ থেকেই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে সমাজে নারী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র।

বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে নারী নির্যাতন, ধর্ষন ও নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধের অঙ্গীকার নিয়ে ৮মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালনের জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”