২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, ৭:২৩

গ্রেফতারকৃত জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

লিটন হত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ অসত্য প্রমাণিত হয়েছে

গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যকাণ্ডের পরে গাইবান্ধায় গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রকৃত হত্যাকারী গ্রেফতার হওয়ায় জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা ঐ হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা কোন রকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ঐ ঘটনার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। ঐ ঘটনার পরে গাইবান্ধায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মিথ্যা বক্তব্য এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা বলেছিলাম যে, ঐ হত্যাকা-ের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আওয়ামী মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে গ্রেফতার করেছে এবং তার বাড়ী থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করেছে। এ হত্যাকা-ের অপর নায়ক আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার গোস্বামী ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। এ থেকেই জাতির সামনে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিতেই অভ্যস্ত। এ পর্যন্ত তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যত বক্তব্য দিয়েছেন তা সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই সে জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে তারা মিথ্যা বক্তব্য দিলেও বাস্তবে তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। এতে প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকা-ের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত নয়। কিন্তু বিনা কারণে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার করে তাদের উপর চরমভাবে জুলুম করা হয়েছে। আমি এ ধরনের নিরীহ লোকদের উপর জুলুম করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশা করি তারা গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন এবং ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশতঃ অহেতুক ঘায়েল করার অপপ্রয়াস চালানো থেকে বিরত থাকবেন।”