৮ জানুয়ারি ২০১৭, রবিবার, ১২:০৫

নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা’ প্রতিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশবাসী বিস্মিত

‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান

নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি ব্যবহারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৮ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সরকারের ইঙ্গিতে নির্বাচন কমিশন ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে।

১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রার্থীদের জন্য প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে আবেদন বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি বরাদ্দ দেন। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় জামায়াতে ইসলামীকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকসহ নিবন্ধিত করা হয়। সম্প্রতি কোন নির্বাচনে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বরাদ্দ না দেয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ সরকার জামায়াতের ওপর ধারাবাহিকভাবে যে জুলুম-নিপীড়ন চালাচ্ছে তাতে জামায়াতের প্রতি জনগণের সহানুভূতি, ভালবাসা ও সমর্থন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জামায়াতের এ অব্যাহত জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জামায়াত যাতে তার দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যই এ প্রতীকটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।”