১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার

আমীরে জামায়াতের বিবৃতি

সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে।

পুরোনো গাড়ী চালানো ও গাড়ী চালকদের আইন অমান্য করে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানোর কারণেই ইদানিং সড়ক দুর্ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় গাড়ি চালক হেল্পপারকে দিয়ে গাড়ি চালায়। এ ছাড়া অনভিজ্ঞ ও অপরিপক্ক চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। অবস্থা দেখে মনে হয় গাড়ীগুলো আইন মেনে চলে কিনা তা দেখার কেউ নেই। কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার হয় না বিধায় গাড়ী চালকগণ বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালায়। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ তা দেখেও না দেখার ভান করছে। ব্যাপকভাবে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে গাড়ীতে যাতায়াত করতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে।

বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৭ জন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছেন। গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে ৫০ জন লোক নিহত হয়েছেন। প্রতিনিয়তই মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। অথচ এদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই।
ইংরেজী দৈনিক পত্রিকা ‘দি ডেইলী স্টারে ১৩ ফেব্রুয়ারী’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে গত ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সারা দেশে দশ হাজার আটশত তিরানব্বইটি সড়ক দুর্ঘটনায় চৌদ্দ হাজার ছয়শত সাতানব্বই জন লোক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন সাঁইত্রিশ হাজার আটশত পঞ্চান্ন জন লোক। ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাস ও চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ দিনে পাঁচশত একাশিটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে নিহত হয়েছেন ছয়শত আশি জন লোক ও আহত হয়েছেন এক হাজার তিনশত তেইশ জন লোক।

এ পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, দেশে কী ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে! এ অবস্থায় কোন দেশ চলতে পারে না।
তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য কার্যকর বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”